সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় বন্ধুদের প্রতি আমাদের আন্তরিক শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা রইল। বিশেষ করে সেই অন্ধকার সময়ে—যখন দেশে ফ্যাসিস্ট শাসনের ভয়ে সত্য উচ্চারণ দুরূহ ছিল—বিদেশে অবস্থানরত এবং দেশের সচেতন সোশ্যাল মিডিয়া একটিভিস্টগণ নির্ভীকভাবে ফ্যাসিবাদী সরকারের মুখোশ উন্মোচন করেছেন। গণবিরোধী কর্মকাণ্ড, লুটপাট এবং নিপীড়নের নানা তথ্য তুলে ধরেছেন জনগণের সামনে। তাঁদের এ সাহসিকতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞতা ও সম্মান জানাই।
আজ আমরা একটি নতুন বাস্তবতায় উপনীত হয়েছি। আমাদের লক্ষ্য এখন দেশ গঠন। সে লক্ষ্যে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সমালোচনার ভাষাও মার্জিত হওয়া জরুরি। সত্য বলার অধিকার অবশ্যই রয়েছে, তবে তা যেন শালীনতা, যুক্তি ও দেশপ্রেম দ্বারা পরিশুদ্ধ হয়।
যাঁদের বিরুদ্ধে সত্য বা অসত্য তথ্য, কিংবা অপবাদমূলক প্রচার চালানো হচ্ছে, তা কতটা সমীচীন—তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা মনে করি, ভাষার মার্জনা ও সংযমই দীর্ঘমেয়াদে জাতিকে উপকৃত করবে।
এই ধারা যদি এখনই থামানো না যায়, তবে লাভবান হবেন তাঁরাই যারা অতীতে স্বৈরাচারকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন। একইসঙ্গে, বিদেশিরাও আমাদের জাতি সম্পর্কে বিভ্রান্ত ধারণা পেতে পারে। এ প্রেক্ষাপটে উত্তম পথ হতে পারে—সোশ্যাল মিডিয়া একটিভিস্টদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, মতবিনিময়ের মাধ্যমে পরামর্শ দেওয়া এবং গঠনমূলক সমালোচনায় উৎসাহিত করা। কারণ প্রত্যেক ব্যক্তিরই একটি নির্দিষ্ট মানসিক গঠন রয়েছে, যার সীমার বাইরে তাঁরা অনেক সময় যেতে পারেন না।
সোশ্যাল মিডিয়ার একটিভিস্টদের ভুলত্রুটি অবশ্যই আছে, যেমন আমাদের সবারই আছে। তবে উদ্দেশ্য যদি হয় দেশ ও জাতির কল্যাণ, তাহলে আমাদের উচিত আরও সংযত ও দায়িত্বশীল হওয়া।
মিডিয়ার বন্ধুদের কাছে অনুরোধ—এ বক্তব্য কাউকে হেয় করা বা বিরুদ্ধাচরণের উদ্দেশ্যে নয়।
আমরা সবাই যেন মনে রাখি—একবার উচ্চারিত শব্দ আর বন্দুক থেকে বের হওয়া গুলির মাঝে মিল রয়েছে: দুটোই ফেরানো যায় না। আর এদের ক্ষতি অনেক সময় অপূরণীয়।
আসুন, আমরা আরও সহনশীল ও দায়িত্বশীল হই।
ভবিষ্যতে সুযোগ হলে এ বিষয়ে আরও বিশদভাবে আলোচনা করবো।
দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।
সানুগ্রহ নিবেদনে,
মোঃ আসাদুজ্জামান
আহ্বায়ক – কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ

Latest Videos